মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইনিয়নের কবি ও গীতিকার রমজান আলী।
রমজান আলীর কবিতা :
🙏 শুভ হোক বিদায় 🤲
🇧🇩 রমজান আলী ✍️
বন্ধু আমায় জিজ্ঞেস করে
কি হে রমজান ভাই -
বাসা বাড়ি করতে তোমার
মনে কি সাধ নাই!
সারা জীবন কি করলে ভাই
পরের দেশে থাকি?
জীবনটা তো শেষ করিলে
কয়দিন আছে বাকী!
শেষ বয়সে পস্তাবে তাই
আমার কথা ধরো-
গ্রামে কিংবা শহরে হোক
কিছু একটা করো!
বন্ধু আমার মহা জ্ঞানী
সবকিছু বেশ বুঝে -
নিজের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে
আমার শান্তি খুঁজে! 🤔
আমি তাকে প্রশ্ন করি
কোথায় তোমার ঘর?
সে আমাকে জবাব দিলো
সামনে তার কবর।😢
বন্ধুর কথা শুনে আমার
পায় যে খুবই হাসি -
তুমি যেমন আমিও তেমন
ভবের পরবাসী।
এমন কথা শুনে আমার
বন্ধু দিলো কেঁদে -
সবার বুঝি একই দশা
ধনী গরীব ভেদে?
তাহলে কও ওরা কেনো
বাঁধছে রঙিন বাড়ি?
শহর টাউন সব জায়গাতে
দালান সারি সারি!
আমি তখন কইলাম বন্ধু
শান্ত করো মন-
এর জন্যে তো দুনিয়া জুড়ে
এতোই বিভাজন।
রং ছড়ানো ভবের হাটে
যার যা ইচ্ছে করে -
একদিন কিন্তু যেতে হবে
ঐসব থাকবে পড়ে!
সাধ আছে তো সাধ্যের অভাব
তার মনে নেই সুখ -
অনেক কিছু পেয়েও মানুষ
আশায় বাঁধে বুক।
তোমার আমার একই দশা
চিন্তার কিছু নাই -
পার্থিব আশা সর্বনাশা
চলো দেশে যাই।
দমের মালিক চেয়ে আছেন
মোদের অপেক্ষায় -
তাঁরই কাছে একটাই চাওয়া
শুভ হোক বিদায়।
♥️ঐক্যের ডাক🌹
🇧🇩রমজান আলী✍️
চলো সবাই এক হয়ে যাই
দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে,👬
নবীর প্রতি সালাম জানাই
মনের দরজা খুলে ৷
দাঁড়িয়ে বসে চলার পথে
কিংবা শয়নকালে,
সালাম জানাই দুরূদ পড়ি
শুয়ে হাসপাতালে ৷
নবীর উপর দুরূদ সালাম
পড়িলে একবার,
আল্লাহ্ নিজে বিনিময়ে
সালাম দেন দশবার৷
আর নাকরি তর্ক বাহাস
মিলাদ কিয়াম নিয়ে,
দুরূদ সালাম পড়েই কিন্তু
হচ্ছে নিকাহ্ বিয়ে ৷
যার যার মতো পড়ছি দুরূদ
শৃংঙ্খলায় পার্থক্য,
মুস্তাহাব বিষয় নিয়ে কেনো
করছি মতানৈক্য!
ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব দেখে
শয়তান বাজায় শিস,
সুযোগ পেয়ে দুশমনেরা
দিচ্ছে ঢেলে বিষ ৷
নিজের মধ্যে ঝগড়া করে
দিচ্ছি হাজার ধিক্,
একে অন্যে কাফের বলছি
বলছি মুনাফিক ৷
ভাইয়ের সাথে বাহাস করে
করছি নিজের ক্ষতি,
বিভক্তিতে ভাটা পড়ছে
দিন ও ধর্মের গতি ৷
আসুন সবাই মৌলিক কাজে
গড়ি ঐক্যমত,
ইখতেলাফে সম্মান রেখে
খোঁজি সঠিক পথ ৷
এক মালিকের সৃষ্টি সবাই
একজনই রাসুল,
ইসলাম মানে শান্তির ধর্ম
শান্তিই সুখের মূল 🌴🌴
______________==___________
"আর করিসনা জিদ"
==রমজান আলী==
আর করিসনা জিদরে ওভাই
আর করিসনা জিদ,
সকল জিদের সমাপ্তি হোক
এই কুরবানীর ঈদ!
গ্রামটি মোদের খুবই সুন্দর
সুন্দর পরিবেশ,
মুছে ফেলো হিংসা ঘৃণা
হানা হানির রেশ!
সবাই মিলে সুর তুলে গাও
তাকবীর ও তাহমিদ!
আর করিসনা জিদরে ওভাই
আর করিসনা জিদ!
চলো সবাই আগের মতো
মিলেমিশে থাকি,
যেমন ছিলেন পূর্ব পুরুষ
তেমনি রীতি রাখি!
ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব করলে
চোরে কাটবে সিঁধ!
আর করিসনা জিদরে ওভাই
আর করিসনা জিদ!
যার অবদান যেমন আছে
সবাই আমরা জানি,
ভালো কর্ম করবে যে জন
তাকেই সাধু মানি!
শিক্ষার আলো জ্বলে ওঠুক
ভেঙে অলস নিঁদ!
আর করিসনা জিদরে ওভাই
আর করিসনা জিদ!
লক্ষ্য করো দূরের আকাশ
কেমন ধূসর নীল,
দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলো
উদার হবে দীল!
যার প্রাণে নেই হিংসা ঘৃণা
সেই হলো আবিদ!
আর করিসনা জিদরে ওভাই
আর করিসনা জিদ!
_________________________________________
এই কবিতাটি ২০১৭ সালের
🥀বেলার শেষে 🌴
🇧🇩 রমজান আলী ✍️
তর্কে তর্কে সময় তোমার
করিলে ক্ষেপণ,
যোহর পেরিয়ে আছর এলো
তবুও অচেতন!
এই মুহূর্তে মাগরিব হবে
দিনের হবে শেষ -
সূর্য হবে অস্তমিত
আঁধার হবে দেশ।
সামনে তোমার অকূল পাথার
,সঙ্গে কেউ কী যাবে ?
ঘোর অন্ধকার ঢেউয়ের পাহাড়
সাঁতরে কূল কী পাবে!
চৈতন্য এলোনা মনে ,
ধোঁকায় জীবন বাজি-
নফ্সের কুমন্ত্রণায় তুমি
সকল সময় রাজি!
কান পেতে ঐ শোনো বাজে
সত্যের আহবান-
সাধু সঙ্গ ,করেছ ভঙ্গ
ভেঙ্গেছে ঈমান!
সুশীল কুশীল কতই নামে
জীবন ছন্দময়!
মরণ এসে মুছে দিবে
রঙ্গীন পরিচয়
স্ত্রী সন্তান বিশাল সম্পদ
কেউ হবে না সাথী-
অন্ধকারে রেখে দিবে ,
নেই সেখানে বাতি!
মাটির দেহ মাটি হবে
মুছে যাবে স্মৃতি -
ক্ষণিক সময় ভেসে রবে ,
তোমার কর্ম কৃতি।
কর্মের জাযা ভোগ করিবে
, তুমিই কেবল একা ৷
অতি মায়ার বন্ধু বান্ধব ,
পাবে না আর দেখা ।
ফজর কেটেছে ঘুমের ঘোরে ,
যোহর গেল কাজে!
আছরের ঐ মধুর ধ্বনি ,
মসজিদ মিনারে বাজে ৷
মাগরিব এশা সামনে আছে
হওরে যত্নবান ৷
যেনে রেখো আল্লাহ্ মোদের
অতীব মেহেরবান ৷
খালিস দিলে চাহিলে কিন্তু
তওবা কবুল হয় ৷
সময় থাকতে সংগ্রহ করো
, মুমিনের পরিচয় ৷
__________________________________
ফেইসবুক কে নিয়ে কবিতা লেখেন ২০২২ সালে
👷♂️ফেইসবুক প্রেম🐝❣️
🇧🇩রমজান আলী✍️
বন্ধু আমায় সবার থেকে
ভিন্ন চোখে দেখে,
ভালবাসা প্রকাশ করে
ফেইসবুকেতে লেখে!
ম্যাসেঞ্জারে বার্তা পাঠায়
লাভ রিয়েক্ট দিয়ে,
যদি আমি রাজি থাকি
করবে আমায় বিয়ে!
কতো কিছু বলে আরো
রাত নিশিতে জেগে,
মধুর মধুর কথা বলে
সীমাহীন আবেগে!
হঠাৎ একদিন জাগলো মনে
তাকে দেখার সাধ,
কথা হলো দুজন মিলে
দেখবো রাতের চাঁদ!
বিলম্ব আর সয়না প্রাণে
গেলাম বন্ধুর কাছে,
গিয়ে দেখি সোনা বন্ধু
বোতল হাতে নাচে!
আমার হাতে রসগোল্লা
আরো ছিলো ফুল,
সোনা বন্ধু আমায় দেখে
আনন্দে মশগুল!
বন্ধুর মুখে হাসি দেখে
অবাক হলাম আমি,
চাঁদনী রাতে নেমে এলো
অমাবস্যার যামী!
দাঁতগুলো তার মরুর পাথর
মুখে মদের গন্ধ,
মাতাল বেশে দাঁড়িয়ে আছে
বাচনে নেই ছন্দ।
বয়স তাহার ষাটের কোঠায়
আমার বয়স কুড়ি,
তাহার চোখে আমি নাকি
পঞ্চাশোর্ধ বুড়ী!
এলোমেলো দেহের গঠন
আস্ত একটা ভূত,
ভাব ভংগিমায় প্রকাশ করে
সে যেনো নিখুঁত!
ইজ্জত নিয়ে ফিরে এলাম
তাহার কবল থেকে,
আই লাভ ইউ বলছে আবার
পিছন থেকে ডেকে!
ঘরে ফিরে এলাম যখন
গায়ে এলো জ্বর,
পিরিতের অনলে পুড়ে
কাঁপছি যে থরথর!
ফেইসবুকেরই প্রেম পিরিতি
এমনি বুঝি হয়?
সাদা সাদা কালা কালা
তাইতো সবাই কয়!
________________________________
🍀যুগের ভয়🌾
🇧🇩রমজান আলী✍️
ডালভাত শুধু দিসরে বাবু
এর বেশি আর চাই না,
কথা রাখিস শেষ বয়সে
বৃদ্ধাশ্রম যেন যাই না।
সারা জীবন তোদের নিয়ে
কতো স্বপ্ন বুনেছি,
বৃদ্ধ সময় বড়োই কঠিন
বাবার মুখে শুনেছি।
তোদের রেখে কোথাও কভু
কাটেনি মোর একটি রাত,
অসুখ বিসুখ হইলে তোদের
মাথায় পড়তো বজ্রাঘাত।
শিয়ালের ডাক শুনলে তোরা
ধরতে আমায় জড়িয়ে,
তোদের কষ্টে দুচোখ হতে
পড়তো পানি গড়িয়ে।
বুকের ভিতর যতন করে
রাখছি আমায় সব সময়,
দুহাত তুলে করছি দোয়া
তোদের যেন মঙ্গল হয়।🤲
অনেক বড়ো হয়েছিস আজ
তবুও মনে শান্তি নাই,
আরো ভালো রাখুন খোদা
মোনাজাতে চোখ ভিজাই। 😭
বলনা বাবু শেষ বয়সে
আমার কথা রাখবে কি?
বুড়ো হলে আমায় তোরা
আদর করে ডাকবে কি?
অসুখ বিসুখ হয় যদি মোর
তোদের পাশে রাখবে তো?
সুখে দুঃখে হাসি মুখে
আদর করে ডাকবে তো?
রমজান আলির কবিতাগুলোর মধ্যে কয়েক টা তুলে ধরা হলো।
❤️
ReplyDelete